Sunday, July 8, 2018

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বিল গেটসের জীবনের মজার কিছু কাহিনী


মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের জীবন কেটেছে নানা ঘটনার মধ্যদিয়ে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ না করেই মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তির আসনে ওঠা এবং দানশীল হিসেবে খ্যাতিমান হয়েছেন তিনি। কিন্তু একসময়ের কঠোর ব্যবস্থাপক, দুর্দান্ত চিন্তক বিল গেটস কিন্তু খাবার শেষে নিজের প্লেট নিজে ধোয়ার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পান। তাঁর জীবনে এমন কিছু মজার ঘটনা আছে, যা আনন্দদায়ক। বিভিন্ন বই, ওয়েব ও তাঁর সহকর্মীদের সাক্ষাৎকারে এসব মজার কাহিনি উঠে এসেছে। তাঁর জীবনের এই মজার ঘটনাগুলো নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিজনেস ইনসাইডার। সেখান থেকে কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো: দুষ্টু বিল গেটস কিশোর বিল গেটস কিন্তু একেবারেই শান্তশিষ্ট ছিলেন না। স্কুলে পড়ার সময় তাঁর পছন্দের সব মেয়েকে এক ক্লাসে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। কিশোর বিল গেটসকে স্কুল কর্তৃপক্ষ কম্পিউটার ব্যবহার করে একটি ক্লাস শিডিউল তৈরি করে দিতে বলেছিল। এই সুযোগ কাজে লাগান তিনি। তাঁর পছন্দের সব মেয়েকে দিয়ে নিজের ক্লাস ভরান। হার্ভার্ডে পড়াশোনায় ফাঁকি হার্ভার্ডে পড়ার সময় যেসব কোর্সের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, তার একটিতেও হাজিরা দেননি। এর পরিবর্তে তাঁর ভালো লাগত যেসব ক্লাস, সেখানে বসে যেতেন। তবে তাঁর মুখস্থবিদ্যা ছিল দুর্দান্ত। ফলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় তাঁকে আটকায় কে? ফলে ক্লাস না করেও সব সময় এ গ্রেড পাওয়া ছাত্র ছিলেন বিল গেটস। পড়াশোনা থোড়াই কেয়ার হার্ভার্ডে পড়ার সময় ২০ বছর বয়সী বিল গেটস ‘প্যানকেক সর্টিং’ নামের দীর্ঘদিনের এক গাণিতিক সমস্যার সমাধান করে ফেলেন। তাঁর অধ্যাপক যখন ওই সমাধানটি একাডেমিক পেপারে প্রকাশের কথা বলেন, তখন বিল গেটস মাইক্রোসফট নিয়ে ঝুঁকে পড়েন। হার্ভার্ডের সাবেক অধ্যাপক ক্রিস্টোস পাপাডিমিত্র লিখেছেন, ‘দুই বছর পর যখন বিল গেটসকে ডেকে বলা হলো, তাঁর সমাধানটি গণিতের সাময়িকীতে প্রকাশের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। তখন তাঁর আগ্রহ দেখা যায়নি। সে নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্কে মাইক্রোপ্রসেসরের মতো যন্ত্রের জন্য কোড লিখতে ছোট একটি কোম্পানি চালাতে আগ্রহী।’ ক্রিস্টোট লিখেছেন, এ রকম মেধাবী একজন ছেলে গোল্লায় যাচ্ছে বলে ভেবেছিলেন তিনি। গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানা জোরে গাড়ি চালানোর জন্য একবার নয়—তিনবার, তা-ও একই পুলিশের কাছে দুইবার জরিমানা দেওয়ার নজির আছে বিল গেটসের। পোরশে ৯১১ গাড়ি চালিয়ে আলবুকার্ক থেকে সিয়াটলে ফেরার সময় তাঁকে জরিমানা করা হয়। আলবুকার্ক মরুভূমিতে সাধারণত খুব জোরে গাড়ি চালাতেন গেটস।একবার এক বন্ধুর কাছ থেকে পোরশে ৯২৮ মডেলের সুপারকার ধার করে এত জোরে চালিয়েছিলেন যে তা ভেঙে যায়। এক বছর লেগেছিল তা মেরামত করতে।গাড়ির নম্বরপ্লেট মনে রাখতেন তিনি মাইক্রোসফটের অফিসে কর্মীরা কখনআসছেন বা যাচ্ছেন, তা গাড়ির নম্বরপ্লেট দেখে মনে রাখতেন বিল গেটস।টেলিগ্রাফকে এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেছিলেন, ‘কর্মীরা কতটা কঠোর পরিশ্রম করছেন, তা যাচাই করতে আমার মান প্রয়োগের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হতো। আমি সবার নম্বরপ্লেট জানতাম। পার্কিংয়ে প্লেট দেখলেই বুঝতে পারতাম কে কখন আসছেন বা যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠান বড় হয়ে যাওয়ার পর আমি এতে একটু শিথিল হই।’ গেমপোকা কম্পিউটারে গেম খেলা বিল গেটসের পছন্দ। কিন্তু তা একসময় নেশা হয়ে গিয়েছিল। মাইনসুইপার নামের গেমটির এতই ভক্ত ছিলেন যে তাঁর মনোযোগ ঠিক রাখতে গেমটি আনইনস্টল করতে হয়েছিল। একবার যখন এক কর্মী কম্পিউটার স্ক্রিপ্ট লিখে বিল গেটসের গেমের স্কোরকে হারিয়ে দেন, তখন গেটস বলেন, যন্ত্রযদি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে কাজ করে, আমরা কীভাবে মর্যাদা রাখব?ইকোনমি ক্লাসের যাত্রী ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বিল গেটস কোম্পানির সব লোক নিয়ে উড়োজাহাজের ইকোনমি ক্লাসে উঠেছেন। কোম্পানির রীতি ছিল সবকর্মীকে ইকোনমি ক্লাসে যেতে হবে। বিল গেটসও তা মেনে চলতেন। গেটসেরএক সহকর্মী লিখেছেন, ১৯৯০ সালে মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার পর এক ব্যবসায়িক ভ্রমণে বিল গেটসের সঙ্গে তিনি ইকোনমি ক্লাসে গিয়েছিলেন।ওই সময় মাইক্রোসফট বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বড় প্রতিষ্ঠানেরপ্রধান হয়েও কর্মীকে নিয়ে ইকোনমি ক্লাসে যেতে গেটসের মধ্যে কোনো অস্বস্তি দেখেননি তিনি। তিনি মাঝখানের সিটে বসেছিলেন। সারা পথ বই পড়তে পড়তে গিয়েছিলেন গেটস। পরে অবশ্য বিল গেটস নিজস্ব জেট বিমান কিনেছেন। কারিগরিতে ওস্তাদ বিল গেটসকে কারিগরি দিক থেকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। কোনো সফটওয়্যার তৈরির মাঝপথে তিনি বাগড়া দেন না। কিন্তু এক মিনিটের জন্যও তাঁকে বোকা বানানো সম্ভব নয়। কারণ, তিনিএকজন সত্যিকারের প্রোগ্রামার। স্বেচ্ছাসেবী খাবারের পর, বিশেষ করেরাতের খাবারের পর নিজের প্লেট নিজে ধুয়ে ফেলেন তিনি। তিনি বলেন, অন্যরা সাহায্য করতে চাইলেও নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করেন তিনি।মজার মানুষ একবার এক সাক্ষাৎকারের সময় হুলুস্থুল কাণ্ড বাধিয়ে বসেন বিল গেটস। সাংবাদিককে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন তিনি। ওই সময় বাথরুমের গিয়ে নিজেকে আটকে রাখেন। যতক্ষণ পর্যন্ত সাংবাদিক ক্ষমা না চান, ততক্ষণ বাথরুমে বসে থাকার হুমকি দেন। তাতে কাজ হয়। মাইক্রোসফটের প্রতিবেদক ম্যারি জো ফলি এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। ফলি বলেন, মজার একটি ঘটনা এটি। কমডেক্স নামের এক সম্মেলনেরসময় কয়েকজন সাংবাদিক মিলে গেটসের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। ওই সময়কারবিখ্যাত সাংবাদিক জন ডজ খেপিয়ে দেন বিল গেটসকে। অবশ্য তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার ধরন ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি বিল গেটসকে ‘বাজারের সংজ্ঞা কী’ জাতীয় প্রশ্ন করেন। এতে বিল খেপে যান এবং উঠেগিয়ে বাথরুমে যান এবং নিজেকে আটকে রাখেন। বলেন, জন ক্ষমা না চাইলেআর বেরোবেন না। জন তখন বাথরুমের দরজার সামনে গিয়ে বলেন, ‘আই অ্যাম সরি।’

15 comments:

  1. সুন্দর একটি শিক্ষনিয় লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আরও ভালো এবং শিক্ষণীয় লেখা আপনার কাছ থেকে আশা করছি। বেচে থাকুক আপনার শিক্ষণীয় ব্লগ। ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  2. Sir,
    Join here.
    Love Story , sad story , romantic story etc all here.

    SMsudipBD.Com

    SMsudipBD.Com

    SMsudipBD.Com

    We are Waiting .......

    ReplyDelete
  3. nice ,
    more story: https://wonderfulstoryandletter.blogspot.com/2020/07/blog-post_43.html

    ReplyDelete
    Replies
    1. wonderfulstoryandletter.blogspot.com/2020/07/blog-post_43.html

      Delete
    2. আপনার গল্পটি খুব সন্দর হয়েছে।

      আমাদের সাইট: https://wonderfulstoryandletter.blogspot.com/

      আমাদের কিছু গল্প:

      এমন কি গল্প যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে?💎

      তারা 🎑 শুধু এই পৃথিবীর!🌏

      ভালোবাসা কি?

      গুন্ডী মেয়ের ভালবাসা

      Delete
  4. আপনার গল্পটি খুব সন্দর হয়েছে।
    আমাদের সাইট: https://wonderfulstoryandletter.blogspot.com/

    ReplyDelete
  5. খুব ভালো পোস্ট!!! বাংলা ছড়া ও কবিতার জন্য ভিসিট করুন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ....

    ReplyDelete
  6. আপনার আর্টিকেল টি পরে খুব ভাল লাগলো ভাই আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে পড়তে পারেন

    ReplyDelete
  7. love the story. keep posting. Visit my travel blog as well Wikistravel

    ReplyDelete