Sunday, July 8, 2018

ইসলামিক গল্প(দরুদ শরীফের ফজিলত)




একদা একটি মহিলা হযরত হাসান বসরী (রঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বলল, কিছুদিন হয় আমার একটি যুবতী মেয়ে মারা গেছে, সেজন্য আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত। আমাকে এমন একটি তদবির বলে দিন যাতে আমি তাকে স্বপ্নে দেখতে পারি। অতঃপর হযরত হাসান বসরী (রঃ) তাকে তদবির বলে দিলেন। মহিলাটি সে অনুযায়ী আমল করার পর একদিন দেখতে পেল যে তার কন্যাটি আলকাতরার পোষাক পরিহিতা, গলায় লোহার জিন্জির পড়ানো ও পায়েবেড়ি লাগানো আছে। মহিলা এ কথা হযরত হাসান বসরী (রঃ)কে জানালে তিনি চিন্তান্বিত ও দুঃখিত হলেন। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হলে হযরতহাসান বসরী (রঃ) নিজে সে কণ্যাটিকে স্বপ্নে দেখেন যে, সে বেহেশতেপদচারনা করছে এবং মাথায় বেহেশতি তাজ। মেয়েটি তখন হযরত হাসান বসরী (রঃ) কে বলল, হে হাসান। আপনি কি আমাকে চিনতে পারেন নাই ? আমি সে মহিলাল কন্যা, যে আমাকে স্বপ্নে দেখার জন্য তদবির নিয়েছিল।’ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, পূর্বে তো তোমার এরূপ অবস্থা ছিল না। কিভাবে তোমারপূর্বাবস্থা পরিবর্তন হলো এবং তুমি এ পর্যায়ে উন্নীত হলে- এর কারনকি? সে বলল, এর কারন হচ্ছে এই যে, একদা এক ব্যক্তি আমার কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হুজুর সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করেছে। তখন কবরস্থানের পাঁচ ব্যক্তির উপর গোর আযাব হচ্ছিল। সেই পথিক লোকটির দরুদ শরীফ পাঠ করার পর আমরা একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। তাতে বলা হচ্ছে - এই ব্যক্তির বরকতে এদের উপর থেকে আযাব উঠিয়ে নাও। অদঃপর তৎক্ষনাত আমাদের আযাব বন্ধ হয়ে গেল। মুকাশাফাতুল কুলুব-ইমাম গাজ্জালী (রঃ)।

0 comments:

Post a Comment