Sunday, July 8, 2018

জীবনের গল্প (অনিল ছোয়া)

চারিদিক নিস্তব্ধ। পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে গেছে। গৌধুলির লাল আভার বিকিরণ হচ্ছে নদীর ঢেউ এ। . আর অনিলের চোখের অশ্রুফোটা নদীতেপড়ছে ব্রীজের উপর থেকে।তাতে ক্ষুদ্র তরঙ্গের সৃষ্টি হচ্ছে নদীর ঢেউ এর সাথে।কিন্তু সেই ক্ষুদ্র ঢেউ নদীর ঢেউয়ের কাছে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঠিক এভাই ছোয়ার জীবন থেকে বিলীন হয়ে গেছে অনিল।কত স্বপ্ন সাজিয়ে রেখেছিল অনিল ছোয়াকে ভালো রাখার জন্য।কত আশার প্রদীপ জ্বলেছিল।কিন্তু সবকিছু থেকে এখন কেবলই ধোয়া উঠছে। . কারন হলো এখনো কোনচাকরি হলো না অনিলের ।অনিল চাকরির জন্য হন্নে হয়ে বেড়িয়েছে এই দুইটা বছর কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি হলো না।আজকেও একটা কোম্পানি থেকে ফোন করার কথা কিন্তু করে নি।করলে হয়তো ছোয়ার বিয়েটা আটকানো যেতো কিন্তু শেষ চেষ্টাটাও করতে পারলো না অনিল। নিজেকে খুব ব্যর্থমনে হচ্ছে।জিবনটাকে অর্থহীন লাগছে, চরম হতাশায় ডুবে গেছে অনিল।ভালোবাসাটা কি চাকরির সমানুপাতিক আর অর্থের ব্যস্তানুপাতিক। সেখানে ছলনা শব্দটা ধ্রুবক হলে সমানের ওপাশে ছোয়ার নামটা সহজেই বসানো যাবে।কত সহজে চলে গেল ছোয়া। এসব ভাবতে ভাবতে ফুটপাতের ধারে হেটে চলছে অনিল।কিছুটা আনমনে হয়ে পা চালাচ্ছে।এমন সময় মাথার উপর বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা ঘটেছে সেদিকে খেয়াল নেই অনিলের । এমন সময় ধাক্কা দিয়ে কেউ সরিয়ে দেয় অনিলকে।তাকাতেই দেখে একটা মেয়ে। নাম মিম সেখান থেকেই মিমের সাথে পরিচয় হয় অনিলের। . অনিলকে চাকরি পাওয়ায় সহায়তা মিম।আস্তে আস্তে সম্পর্কের স্পর্শ টের পাায় দুজন। ,৫ বছর পর, আজ অনিল আর মিম এর ৩য় বিবাহ বার্ষিকী। অনিল দূর থেকে তার স্ত্রীকে লক্ষ্য করছে কত সুন্দর লাগছে তার বউটাকে। কত নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে ফেলেছে মিম তাকে। , আজ ছোয়ার কথা মনে পড়েকিছুটা বাকা হাসি আসে অনিলের ঠোটের কোণে।আর মনে মনে ধন্যবাদ দেয় ছোয়াকে।ছোয়া চলে না গেলে হয়ত এমন দিন অনিলের জিবনে আসতো কি না সেটা কল্পনাতীত।



গল্পটি লিখেছেনঃ
হাফিজ অাব্দুর রহমান

অাপনাদের জীবনের গল্প শেয়ার করতে অামাদের ফেসবুক পেজ এ মেসেজ করুন।




banglablog2020.blogspot.com

2 comments: